
ফারহানা ইয়াসমিন তন্নী
ফারহানা ইয়াসমিন তন্নী একজন সৃষ্টিশীল মননের মানুষ, যার গল্প বলা ও কবিতার প্রতি গভীর ভালোবাসা রয়েছে। তাঁর লেখায় আবেগ, সরলতা ও জীবনের প্রতিদিনের অভিজ্ঞতা প্রতিফলিত হয়, যা সব বয়সের পাঠকের হৃদয় ছুঁয়ে যায়। কোমল কিন্তু শক্তিশালী কণ্ঠে তিনি শব্দে প্রাণ সঞ্চার করেন—প্রায়শই কল্পনা ও বাস্তবতাকে এমনভাবে মিশিয়ে তুলে ধরেন, যা একদিকে নতুন আবার অন্যদিকে পরিচিত অনুভব হয়।
তিনি কবিতা ও ছোটগল্প দুই-ই লেখেন, যেখানে প্রেম, বিচ্ছেদ, আত্ম-অন্বেষণ ও নিজেকে জানার মতো বিষয়বস্তু স্থান পায়। তাঁর লেখার ধরণ নরম অথচ ভাবনায় উসকে দেওয়ার মতো—সাধারণ ভাষায় গভীর অনুভূতি প্রকাশ করেন। অনেক সময় তাঁর লেখার অনুপ্রেরণা আসে আশপাশের পরিবেশ, ব্যক্তিগত চিন্তাভাবনা ও সেই ছোট ছোট মুহূর্তগুলো থেকে, যেগুলো প্রায়ই আমাদের চোখ এড়িয়ে যায়।
লেখালেখির পাশাপাশি ফারহানা একজন প্রকৌশলীও। তিনি কম্পিউটার সায়েন্সে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করেছেন যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, যশোর থেকে। পরবর্তীতে তিনি BSc in Computer Science শেষ করেছেন Northern University of Business and Technology, খুলনা থেকে।
লেখালেখির বাইরেও ফারহানা সৃজনশীলতার অন্যান্য রূপে আগ্রহী—যেমন ভিজ্যুয়াল স্টোরিটেলিং, ডিজিটাল ডিজাইন এবং মুখে বলা কবিতা (স্পোকেন ওয়ার্ড)। তিনি বিশ্বাস করেন, শিল্প ও আত্ম-প্রকাশের শক্তি আমাদের মাঝে সংযোগ তৈরি করতে পারে, আরোগ্য দিতে পারে এবং নিজেকে আবিষ্কারের পথ দেখাতে পারে।
একজন লেখক, শিল্পী ও প্রকৌশলী হিসেবে তিনি ক্রমাগত নিজের দক্ষতা ও অভিব্যক্তিকে নতুন রূপে প্রকাশ করে চলেছেন। ফারহানা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকছেন সৎ, আন্তরিক এবং হৃদয়স্পর্শী কাজ পাঠকের সঙ্গে ভাগ করে নিতে। তাঁর গল্প ও কবিতার মাধ্যমে তিনি পাঠকদের আমন্ত্রণ জানান একটি অনুভূতিপূর্ণ জগতে—যেখানে রয়েছে সহানুভূতি, কৌতূহল এবং এক ধরনের নিঃশব্দ শক্তি।

শতবর্ষ পরে: মুগ্ধতা ও হিংসার দ্বন্দ্ব
আজ হতে শতবর্ষ পরে,কে তুমি পড়িছ বসি,আমার কবিতাখানি কৌতুহলভরে….
প্রতিত্তোরে বলতে ইচ্ছে হচ্ছে,হ্যা আমি পড়ছি আর মুগ্ধ হচ্ছি সাথে রীতিমতো নারী চরিত্র গুলোর উপর হিংসায় জ্বলে পুড়ে মরছি।।কেনো আমাকে নিয়েও কোন সাহিত্য রচনা করার আগেই মরে যেতে হলো!!

বেঁচে থাকাটাই এক রহস্য
একটা দারুণ বিকেল বেলা, জীবনে পাওয়া না পাওয়ার হিসেব কষতে বসলাম। সময় যে এত সুন্দর একটা মোড়ে এনে বসাবে তা অকল্পনীয় ছিলো। শ্রেষ্ঠ কিছু মুহূর্ত খুব অপরিকল্পিত থাকে বোধহয়। আমি আপনি যা ভাবি সৃষ্টিকর্তা তার ও অধিক ভেবে বসে থাকেন আর আমাদের কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করতে থাকেন। যত বড় হচ্ছি ততই বিস্ময় হচ্ছি। আমাদের বেচে থাকাটাই যেন এক মস্ত বড় রহস্য!!!

তোমার নামেই নিঃশ্বাস
তুমিই তো সে,
আধার রাতে আলো জ্বালানো এক নিঃসঙ্গ প্রদীপ।
পায়ে পা মিলিয়ে চলা এক শব্দহীন পথিক।
সব ছেড়ে থেকে যাওয়া, সেই ব্যার্থ প্রেমিক।।
সকল ভালো থাকার গল্পগুলো তোমার হোক।
আমার সবটুকু নিঃশ্বাস, তোমার নাম নিয়ে হোক
আর এই অন্ধকার বিদর্ভ নগরীতে, তুমি আলো হয়ে বাচো।
ছবির গ্যালারি








